মহেশখালী সংবাদদাতা :: মহেশখালী উপজেলার শাপলাপুর বনবিট রেঞ্জের জেএমঘাটের নয়াপাড়ায় পানের বরজ কথিত উচ্ছেদ অভিযানে কোন প্রকার নোটিশ বা কথাবার্তা ছাড়াই লাল পতাকা টাঙিয়ে দেয়ায় উত্তেজনা বিরাজ করছে ওই এলাকায়। যে কোন মুহুর্তে ঘটতে পারে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এমনটি মনে করেন সচেতন মহল।
এর আগে গত ৪ সেপ্টেম্বর বিকাল ৩ সময় কোন নোটিশ ছাড়া তাদের একমাত্র সম্বল জমি দখল করে নার্সারি করার নামে লাল পতাকা টাঙিয়ে দিয়েছে বন বিভাগের লোকজন। ঠিক এভাবেই গত ৩১ জুলাই হোয়ানকে কথিত পানের বরজ উচ্ছেদ অভিযান করতে গিয়ে গ্রামবাসীদের সাথে সংঘর্ষে নিহত হয় মহেশখালীর সহকারী রেঞ্জ কর্মকর্তা ইউসুফ উদ্দীন। অনেকেই মনে করেন ফরেস্ট অফিসের অসাধু কর্মকর্তারা পাহাড়ে বসবাস করা অসহায় সাধারণ মানুষের উপর নানা ধরনের হয়রানি ও মিথ্যা মামলা দিয়ে জিম্মি করে রাখে।
এ বিষয়ে ভূক্তভোগী জসিম উদ্দিন বলেন, আমার বাপ-দাদার আমল থেকে এই জায়গা চাষাবাদ করে আসছি। যা আমাদের একমাত্র আয়-রোজগার করার পথ। এখানে আমরা লাখ লাখ টাকা খরচ করে পানের বরজ দিয়েছি। এখন কোন কথা-বার্তা ছাড়া লাল পতাকা টাঙিয়ে দিয়ে আমাদের পান বরজ উচ্ছেদ করার চেষ্টা করতেছে। এবিষয়ে আমরা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এমপি মহোদয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করি।
এবিষয়ে স্থানীয় ইউপি মেম্বার আব্দু সালাম জানান, তারা খুবই অসহায় ও দরিদ্র। সেই জমি ছাড়া ওরা তিন ভাইয়ের আর কোন জায়গা নেই। তারা সেই জমি চাষাবাদ করে কোন রকম সংসার চালায়। এই জমিটুকু বন বিভাগ কেড়ে নিলে তাদের পথে বসা ছাড়া আর কোন উপায় থাকবে না।
এ বিষয়ে শাপলাপুরের বিট কর্মকর্তা রাজিব ইব্রাহীম বলেন, প্রতি বছর চারা রোপণ করার জন্য যাতায়ত, আর পানি সুবিধার ও রাস্তার পাশে হওয়ায় এই জায়গায় নার্সারি করার জন্য নির্বাচন করেছি।
মহেশখালী উপজেলা ভারপ্রাপ্ত রেঞ্জ কর্মকর্তা অভিজিৎ কুমার বড়ুয়া বলেন, নার্সারি করার জন্য ঐ জায়গা সিলেক্ট করা হয়েছে। আমরা ১ লাখ চারা গাছের জন্য যতটুকু জায়গা দরকার তা নিব। পাহাড়ে চাষাবাদ বিহীন একাধিক খালি জায়গা থাকতে এ জায়গা কেন সিলেক্ট করা হয়েছে জানতে চাইলে কোন সদুত্তর দিতে পারেনি এই কর্মকর্তা।
পাঠকের মতামত: